শুরুর শুরু—
বুদ্ধদেব গুহর সৃষ্টি করা বিখ্যাত চরিত্র ঋজুদাকে নিয়ে একটা ছড়া লিখে সাহসে ভর করে গুহসাহেবের অফিসের ঠিকানায় পোস্ট করে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম যখন, তখন কলেজে পড়ি। লিখেছিলাম 'খেয়ালের বশে ছড়া কাটি'। সেই চিঠির উত্তরে তিনি লিখলেন 'খেয়ালের বশে সকলেই লেখে বা ছড়া কাটে। তুমি একা নয়।' এই গল্পগুলিও কতকটা খেয়ালের বশে লেখা। তবে এগুলির পিছনে কিছু বাস্তব ঘটনা বা ব্যক্তির ছায়া পড়ে আছে। পুরীর সৈকতের এক পরিচিত নুলিয়ার মৃত্যুর খবর, ডুয়ার্স বেড়াতে যাওয়ার পথে ট্রেন আটকে দুর্ভোগ, শিবপুরের রাস্তায় মানুষ খুন, সেলফোন যুগের প্রারম্ভে অনামী নম্বর থেকে আসা উটকো ফোন, বেড়াতে গিয়ে চোখে পড়া পরিচয় গোপন করতে চাওয়া অসমবয়স্ক দম্পতি, এইরকম ব্যাপার আর কি। গল্পগুলির রচনাকাল দুহাজার সাত থেকে বারোর মধ্যে। বোঝাই যাচ্ছে শেষ গল্পখানা লেখার পর এক যুগ পার হয়ে গিয়েছে। আর তারপর থেকে সাহিত্যের এই শাখায় প্রবেশের সুযোগ বা সাহস কোনওটাই হয়নি। তখন যে হয়েছিল তার জন্য দায়ী দুজন সফল সাহিত্যিকের উৎসাহ। তাঁরা হলেন শ্রীকুণালকিশোর ঘোষ এবং শ্রী শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিনে তাঁরা দুজনেই প্রয়াত। তাঁদের প্রতি প্রণাম ও কৃতজ্ঞতা জানালাম।
—প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত অক্টোবর, ২০২৪
সাতটি গল্প
Bengali