top of page

অল্প অল্প গল্প

Public·1 member

Palmyra

Abaninadranath Tagore (সাথী)


ree

At a stretch of wilderness there stood one Palmyra tree. In that never-ending horizon that Palmyra grew alone, it had no friend. There was a jungle of fan-palm trees at distance, where many Palmyras stood side by side, hugging each other, perhaps being friends forever. But the jungle was far away from our Palmyra, and it looked sap-green from there where this Palmyra stood.


At night the Palmyra could see countless stars, blinking on the vast dome above—twinkling and coaxing in light-hearted banter. Sometimes the light breeze hugged the lonely Palmyra, showered it with the fragrance of sweet flowers that it had carried, but it was not very often, rather rarely, only when it was spring time. In other seasons, the storm came, rain arrived riding deep ash-grey clouds, there struck the lightening near to that never-ending horizon. The Palmyra kept watching all these. Then Fall sneaked…


22 Views

গরমজামা

সৌরভ চট্টোপাধ্যায়


এখন ক্লাস ফোর | গ্রামের প্রান্তিক এক প্রাথমিক ইস্কুলের ছাত্র | দুপুরে পেটভরে মিড্ ডে মিল খায় বুড়ো | বুড়ো নামেই সবাই ডাকে এই কচি ছেলেটাকে | সে খুব আনন্দে থাকে সারাদিন | মা হোটেলে কাজ করে, বাবা ইঁটভাটার শ্রমিক | অভাব আছে, বুড়ো সব বোঝে। রাত্রে কোনোদিন মুড়ি গুড়, কোনোদিন একটা রুটি | কোনো অভিযোগ নেই তার মা বাবার প্রতি | জুতোটা ছিঁড়ে গেলেও ভ্রুক্ষেপ নেই | একটা সেফটিপিনই যথেষ্ট | কিন্তু গতবছরের শীত থেকেই একটা জিনিসের প্রতি তার একটা মোহ জন্মেছে ...


এবছরেও শীত এসেছে | স্থানীয় হাটের গোবিন্দ মন্ডলের কাপড়ের দোকানে ঝুলছে রকমারি শীতবস্ত্র | হরেক রকম সোয়েটার, টুপি, চাদর | ওর মধ্যেই একটা লাল টুকটুকে সোয়েটার তার খুব পছন্দ | এবছরেও দোকানে আলমারিতে ঝুলছে ওই লাল সোয়েটার |

বাবা মাকে কোনদিন বলেনি কিনে দেওয়ার কথা | বুড়ো জানে বাবার একটাই চাদর, মায়ের আবার তাও নেই | গেল শীতে মায়ের একমাত্র চাদরখানা ছিঁড়ে ফালা ফা…


58 Views

সেদিন চিড়িয়াখানায়

তুষার ভট্টাচার্য্য


মন্টুদা এসে বসল আমাদের টানা লম্বা লাল রঙের দক্ষিণের রোয়াকে। 


জবাগাছের নীচে মন্টুদার ডবল ফর্কওলা হাম্বার সাইকেল। ওই সাইকেলেই হাফপ্যাডেল থেকে ফুল প্যাডেল, তারপর সিটে চেপে সাইকেল চালানো শিখেছি। তারপর তো একদিন দু’হাত ছেড়েও সাইকেল চালিয়ে ফেললাম। ওফ! কী ব্যালেন্স আমার! হ্যাণ্ডেলে হাত না দিয়ে, মানে হাত ছেড়ে সাইকেল চালানোয় যা মস্তানি, তা আর কিছুতে নেই। কত লোক দেখত, আমি হাত ছেড়ে সাইকেল চালাচ্ছি। আমি গ্যাসবেলুন হয়ে যেতাম।


মন্টুদা আমাদের সবার প্রিয় রামানুজ জামাইবাবুর ভাই, পাশের বামুনপাড়ায় থাকে। 

বামুনপাড়াতেই তো সারদামণি বিদ্যামন্দিরে ইনফ্যান্ট ক্লাসে আমি, দাদা বুড়ি দিদিমণির কাছে পড়েছি। বুড়ি দিদিমণি মানে সত্যিই বুড়ি, ধপধপে সাদা চুল, সাদা শাড়ি। কী ভালবাসত আমাদের সবাইকে। আর ছিল মুটু দিদিমণি।

বাজারের পর যে রাস্তাটা বাউনপাড়া হয়ে সরস্বতী নদী পার করে অনন্তপুরের দিকে চলে যায়, তখন সেটা ছিলো কাঁচা রাস্তা, এক হাঁটু ধুলো। ফুটবলে লাথি মারার মতো সেই ধুলোতে লাথি মারতে মারতে ইস্কুলে যেতাম। পা ভর্তি ধুলো হয়ে যেত। বৃষ্টির সময়ে এক হাঁটু কাদা হতো ওই রাস্তায়। রাস্তার পাশে একটা তালগাছ ছিলো, তাতে অনেক বাবুই পাখির বাসা। সারা বছর অসংখ্য গরুর গাড়ি ক্যাঁচ কুঁচ আওয়াজ করতে করতে ওই রাস্তা দিয়ে যেত। সেসব গরুর গাড়ির নীচের দিকে একটা কালো হয়ে যাওয়া চিমনি লাগানো হারিকেন দুলত। বেশিরভাগ গরুর গাড়ি কলার কাঁদি দিয়ে ভরা।


10 Views

হাতিশাল

বেতলা আমার খুব পছন্দের টাউন, সপ্তাহের মাঝখানে গেলে বেতলা খুব সুন্দর। ওখানের রদ্দুর কাঁচা-হলুদবাটার মত। বেতলার নিজস্ব গন্ধ আছে, বন-তুলসীর গন্ধ, হিপনটিক্‌। বেতলা পালমৌ ফরেস্ট রেঞ্জে। বেতলা চক্‌ থেকে একটু বেরলেই চারিদিকে শালের জঙ্গল আর সেই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলেছে পাকদন্ডী। ওগুলো গেছে আসলে বুরহা নদীতে, রাস্তার এধারে দাঁড়িয়ে পাকদন্ডীগুলোর ডেস্টিনেশন নিয়ে রোমাঞ্চ করতে বেশ ভালই লাগে। আমরা বেশ কয়েকবার এই রাস্তায় ঢুকে ফেঁসেছি। এরকম রাস্তায় গাড়ি ঘোরাবার যায়গা থাকে না, মোবাইল ফোনে টাওয়ার থাকে না, তখন সঙ্গী বলতে বুনো হাতি, হরিণ, শেয়াল, খরগোশ, আর সাপ। সঙ্গে মন মাতানো উত্তেজক জঙ্গুলে গন্ধ। উত্তেজনা অন্যকিছুর নয়, ভয়ের। জাতভাই বাঁদরগুলোও খুব একটা এদিকে ভেড়ে না, ভাগ্য নেহাত বিরক্ত না হলে ঘন্টা তিনেক এরকম জঙ্গলে আটকে থাকলে একটা অন্তত কাঠ কাটার শব্দ পাওয়া যায়।


বেতলা ফরেস্ট রেস্ট হাউসের পেছনে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের হাতিদের চিকিৎসা আর দেখভাল করার জায়গা, হাতিশাল গোছের। রেস্ট হাউসের নতুন বিল্ডিঙের পেছনে, ওখানে যাওয়ার জন্য টিলা বেয়ে একটু নীচে নাবতে হয়…


26 Views

কুপি


ree

এই বেতলা কেচকি সার্কিট আমার খুব প্রিয়, ঝাড়খন্ড, পুরুলিয়া, ছত্তিসগড়, ওডিশার উত্তর-পশ্চিম।


কেচকি বাংলোতে আছি, অনেকটাই অরণ্যের দিন রাত্রির মত পরিবেশ। আর এই পরিবেশ থাকবে না, কারণ সামনে নতুন হটেল করছে, পাগলের দল। যাইহোক কেচকি বাংলোর সামনে মাইলের পর মাইল আদিগন্ত বিস্তৃত চর। এটা না দেখলে শরৎ চন্দ্রের বিহারের আঁচ করা যায়না। কেচকির চর তিনটে নদীর কনফ্লুয়েন্সে তৈরি, দূরে ঔরঙ্গা উপত্যাকার পাথুরে পাহাড়, একে অপরের সঙ্গে মিশে গেছে ইন্টারলকিং সিস্টেমে। রাতে পাহাড়ের গা দিয়ে মালগাড়ি আর লোকাল ট্রেন চলে, ঝুকচুক-ঝুকচুক করতে করতে, এক পাহাড় থেকে আলোর সারি বয়ে যায় অন্য পাহাড়ে। মাল গাড়িতে অবশ্য আলো থাকে না, তবে মাল গাড়ি গেলে উপত্যাকাটা ঝম ঝম করে।


কেচকিতে যেদিন পৌঁছলাম সেদিন গিয়েই আমি আর মৌসুমি এই খড়খড়ে সৌন্দর্যে আবিষ্ট হয়ে বাংলোয় লাগেজ রেখে, এক দৌড়ে স্নানের নামে একটা নদীতে শুয়ে পড়েছি, দূরে ব্রিজ, সিমেন্টের কিন্তু ছোটো, দুদিকের দুটো জনা-তিরিশ ঘরের গ্রাম জুড়েছে। ব্রিজের ওপর থেকে উপত্যাকার সুন্দর ছবি দেখাযায়। দুপুরবেলা আমরা নদী…


30 Views

    ©2021 by SPOUT BOOKS. Proudly created with Wix.com

    bottom of page